September 10, 2025, 5:34 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিব শতবর্ষ’ উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচি এবং সারা দেশে নির্মিত ১০ হাজারেরও বেশি ম্যুরালের ব্যয়ের হিসাব তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এজন্য দেশের ৬৪টি জেলা পরিষদ বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (২১ জুলাই) দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, মুজিব শতবর্ষ পালনে কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে কত টাকা ব্যয় হয়েছে, ব্যয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নাম ও পরিচয়, কোথায় কোথায় ম্যুরাল নির্মিত হয়েছে এবং তাতে কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে—এসব বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য ও নথিপত্র চাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য একজন উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে ৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে দুদক।
চিঠিতে আরও বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানাসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন এবং ১০ হাজারের বেশি ম্যুরাল ও ভাস্কর্য নির্মাণের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় ও ক্ষতিসাধন করা হয়েছে। এসব গুরুতর অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানে রেকর্ডপত্র যাচাই একান্ত প্রয়োজন।
নথিপত্র দ্রুত সরবরাহের অনুরোধ জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, সত্যায়িত ফটোকপি জরুরি ভিত্তিতে সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি ও সময়সীমাবদ্ধ।
সূত্র জানিয়েছে, জেলা পরিষদ ছাড়াও আগেই একই ধরনের চিঠি বাংলাদেশ বেতার ও কৃষি গবেষণা কাউন্সিলসহ কয়েকটি সংস্থায় পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্টে সরকারের পরিবর্তনের পর মুজিব শতবর্ষ উদযাপনে সম্ভাব্য দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের ঘোষণা দেয় দুদক। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মুজিববর্ষ পালন ও বিপুলসংখ্যক ম্যুরাল নির্মাণে অর্থ অপচয়ের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুসন্ধান শুরু করে সংস্থাটি। অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য অনুযায়ী, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ছয় অর্থবছরে মুজিব শতবর্ষ উদযাপনে খরচ হয়েছে প্রায় ১,২৬১ কোটি ৫ লাখ টাকা।
প্রয়োজনে আরও সংক্ষিপ্ত বা বিস্তারিত রূপে সাজিয়ে দিতে পারি।